আসসালামু আলাইকুম আজকে আমরা কথা বলব কাজুবাদামের উপকারিতা সম্পর্কে। এবং এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন কাজুবাদাম কেন খাবেন, কখন খেলে উপকারিতা পাওয়া যায় এবং সারাদিনে কয়টি কাজুবাদাম খাওয়া উচিত। কাজুবাদাম শুকনো খাবেন নাকি ভেজা খাবেন কোনটি খেলো উপকৃত হওয়া যায়, এছাড়াও আরো অন্যান্য তথ্য থাকছে আজকের এই পোস্টে।
কাজুবাদাম
কমবেশি আমরা সবাই জানি কাজুবাদাম কি? কাজুবাদাম খুবই সুস্বাদু একটি খাবার এবং যেকোনো খাবারে স্বাদ বাড়াতে কাজুবাদামের তুলনা হয় না। তবে কাজুবাদাম যে স্বারের জন্য খাওয়া হয় বিষয়টা এমন নয়। পুষ্টিকর এবং শারীরিক উপকারিতার দিক থেকে কাজুবাদাম বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই সমস্ত চিকিৎসকরা খাবারের তালিকার সঙ্গে কাজুবাদাম রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কাজুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, অ্যান্টিঅকটেন জিংক, কপার ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন আরো নানাবিধ খনিজ। যা আমাদের শরীরের নানাবিদে উপকারে লাগে। কাজুবাদাম এ ভিটামিনের পরিমাণ এত বেশি থাকে যে, চিকিৎসকরা একে প্রাকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট বলে থাকেন।
কাজুবাদাম না খেলে কি হয়
কাজু বাদামের অন্যতম একটি সমস্যা হচ্ছে একে নিযমিত না খাওয়া হয়। তাহলে এর যথাযথ উপকারিতা আমরা কখনোই পাবনা। তাই আসুন কাজুবাদাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। যাতে করে এর যথাযথ উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারি এবং সেটা পেতে পারি।
কাজু বাদাম খেলে যে উপকারিতা পাবেন
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
- ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
- হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে
- ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
- মানসিক স্বাস্থ্য ও স্নায়ুতন্ত্রের উন্নতি
- হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
এছাড়াও আরও অসংখ্য উপকারিতা আছে এই কাজু বাদামের। সুতরাং আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কাজু বাদাম রাখা উচিত।
অতিরিক্ত কাজুবাদাম খেলে যা হবে
- ওজন বৃদ্ধি: এটা হতে পারে, কারণ এতে প্রচুর ক্যালরি থাকে।
- অ্যালার্জি সমস্যা: এটি কিছু মানুষের মধ্যে হতে পারে।
- কিডনির সমস্যা: এটি হতে পারে কারণ এতে রয়েছে অক্সালেট, যা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কিডনিকে প্রভাবিত করতে পারে।
মনে রাখতে হবে, সঠিক পরিমাণে কাজু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, কিন্তু খুব বেশি খাওয়া ক্ষতিকারক হতে পারে। নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে খাওয়া, এটি হৃদরোগ, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ত্বক ও চুলের যত্ন, মানসিক স্বাস্থ্য এবং হজমে সাহায্য করে।
কাজুবাদাম কখন খাওয়া উচিত
কাজু বাদাম সকালে খালি পেটে খাওয়া উচিত। কারণ সকালে খালি পেটে কাজুবাদাম খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কাজুবাদাম খালি পেটে খেলে দূর হয় কোষ্ঠকাঠিন্য। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যাতে হজমের সাথে সাথে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। যারা ওজন কমাতে চান তারা কাজুবাদাম খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে কাজুবাদাম খেলে ক্ষিধে কম লাগে। এছাড়া কাজুবাদামে যে প্রোটিন আছে তা শরীরের চর্বি কমিয়ে সঠিক ওজন কমাতে সহায়তা করে। কাজু বাদামে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট যা আমাদের দেহের শক্তির প্রধান উৎস। আমাদের শরীর হাইড্রেটকে ভেঙ্গে গ্লুকোজে পরিণত করে তাই খালি পেটে কাজুবাদাম খেলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র গ্লুকোজকে কাজ করতে প্রচুর কাজ করে। কাজুবাদামকে মস্তিষ্কের পাওয়ার বুস্টার বলা হয়। কারণ বুদ্ধির স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগ বাড়াতে কাজুবাদাম খুবই উপকারী।
কাজু খাওয়ার সঠিক নিয়ম
- সকালে খালি পেটে: সকালে খালি পেটে এক মুঠো কাজু খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়। এই সময়ে, এটি সহজেই শরীর দ্বারা শোষিত হতে পারে এবং দীর্ঘ সময়ের জন্য শক্তি সরবরাহ করতে সহায়তা করে।
- সারারাত ভিজিয়ে রেখে: কাজু সারারাত ভিজিয়ে রাখলে তাদের শক্তি ও পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়। এটি হজমের জন্য সহজ হয়।
- পরিমাণ ঠিক রাখা: অতিরিক্ত কাজু খেলে শরীরের চর্বি বাড়তে পারে। সাধারণত, দিনে 20-30 গ্রাম বা এক মুঠো যথেষ্ট।
- অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া: কাজু সালাদে বা অন্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরি করা যেতে পারে।
- সন্ধ্যার নাস্তার বিকল্প হিসেবে: সন্ধ্যায় স্বাস্থ্যকর নাস্তা হিসেবে এক মুঠো কাজু খাওয়া যেতে পারে।